জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত

আসিফ আহমাদ

আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আযহা সমাগত। জিলহজ্ব মাসের 10 তারিখ এই ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। এই যিলহজ মাসের প্রথম দশদিনকে আল্লাহ তাআলা বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
مامن ايام العامل العمل الصالح فيهن احب الى الله من هذه الايام العشره
অর্থাৎ, জিলহজ্ব মাসের 10 দিনের আমল আল্লাহ তা’আলার নিকট সবচেয়ে প্রিয়।
এছাড়াও ঈদের রাতের ব্যাপার নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
من قام ليلتي العيدين محتسبا لم يمت قلبه يوم تموت القلوب
অর্থাৎ, যে ব্যক্তি সোয়াবের আশায় দুই দিন রাতে ইবাদত করবে, তার দিল ওই (কিয়ামতের কঠিন) দিনেও মরবে না, যেদিন(ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কারণে) সব দিল মৃত্যুবরণ করবে। (তারগিব ওয়া তারহিব)

আর কুরবানীর ব্যাপারে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জিলহজ্ব মাসের 10, তথা ঈদুল আজহার দিনে আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে কুরবানী করা। কুরবানীর পশু কিয়ামতের দিন তার সিং পশম ও খুর নিয়ে হাজির হবে। কুরবানীর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহ তায়ালার দরবারে তা কবুল হয়ে যায়। সুতরাং মনের আনন্দে কুরবানী করো। (তিরমিজি, ইবনে মাজা)

হজের আমলে অংশগ্রহণ
জিলহজের প্রথম দশক মূলত হজের সময়। কিন্তু হজ্ব একমাত্র মক্কা শরীফ গিয়েই করা সম্ভব। তবে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবার জন্য এমন একটি সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন, যার দ্বারা আমরা হাজী সাহেবদের সাথে বিশেষ সামঞ্জস্য সৃষ্টি করতে পারি। তা হল, হাজী সাহেবরা যেমন ইহরাম বাঁধার পর থেকে নিজের চুল নখ ইত্যাদি কর্তন করা থেকে বিরত থাকেন, ঠিক তেমনি সারা দুনিয়ার মুসলমানরা চুল নখ ইত্যাদি কর্তন না করে হাজী সাহেবদের সাথে একটি সামঞ্জস্য স্থাপন করতে পারে।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন জিলহজ মাসের প্রথম দশক শুরু হয়, এবং তোমাদের কারো কুরবানী করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে সে যেন নিজের চুল এবং নখ না কাটে। (মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এসব বিষয়ের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন।

Leave a Reply