আসুন! সামর্থ্য অনুপাতে সদকাতুল ফিতর আদায় করি!

আসিফ আহমাদ

একমাস রোজা পালনের পর আসে খুশির ঈদ। সেই খুশিতে সবাইকে শরিক করে নিতে এবং রোজা পালনে ভুল ত্রুটির ক্ষতিপূরণের জন্য ইসলাম সদকাতুল ফিতরের বিধান দিয়েছে।

ঈদের আনন্দ বন্টন এবং ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রতকরণে এর ভূমিকা অপরিসীম। এই বিধানের একটি শিক্ষা এটিও যে, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী তার গরীব মুসলমান ভাইয়ের সহযোগী হবে।

আমরা জানি, সদকাতুল ফিতর নির্দিষ্ট পরিমাণে পাঁচটি দ্রব্য অথবা তার সমমূল্যের মুদ্রা দ্বারা আদায় করা যায়। সেগুলো হচ্ছে, খেজুর, কিসমিস, পনির, যব ও গম। এই পাঁচটি জিনিসের মধ্যে পরিমাণগত এবং মূল্যমান হিসেবে বিস্তর পার্থক্য আছে।

প্রথম চারটি জিনিস দিতে হয় এক সা পরিমাণ (তিন কেজি তিনশ গ্রাম) অথবা এর সমমূল্যের মুদ্রা। আর গম দ্বারা আদায় করলে দিতে হয় আধা সা (এক কেজি সাড়ে ছয়শ গ্ৰাম)বা এর সমমূল্যের মুদ্রা।

এটি হচ্ছে পরিমাণগত পার্থক্য। আর মূল্যমান হিসেবে পার্থক্য তো বোঝাই যায় যে, দেড় দুই কেজি গমের মূল্য আর সাড়ে 3 কেজি পনির বা কিসমিসের মুল্য সমান নয়।

ভালো মানের 1000 টাকা দরের খেজুর দিয়ে যদি ফিতরা আদায় করা হয়, তাহলে একজনের ফিতরা হবে তিন হাজার টাকারও বেশি। আর গম দ্বারা আদায় করলে একটি ফিতরার মুল্যমান হবে মাত্র ষাট থেকে সত্তর টাকা।

মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের কর্তব্য অনুযায়ী আমাদের জন্য উচিত হলো আমরা প্রত্যেকেই আমাদের সামর্থ্য অনুপাতে উল্লিখিত পাঁচটি দ্রব্যের যেকোনো একটি দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করব।

বর্তমানে লক্ষ্য করা যায় যে, সামর্থের হিসাব না করে সবচেয়ে নিম্নমুল্যের পণ্য বা তার মূল্য দ্বারা ফিতরা আদায় করা হয়। অথচ প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুপাতে পাঁচটি দ্রব্যের যেকোনো একটি অথবা তার মূল্য দ্বারা ফিতরা আদায় করা উচিত।

সামর্থ্যবানরা একটি ঈদ উদযাপনে যে পরিমান খরচ করে থাকে, সে অনুপাতে তারা ঈদের আনন্দে অসহায় মানুষকে শরীক করে নিতে ব্যয় করে কি?!

Leave a Reply