রাফি আহমাদ
পবিত্র ঈদুল আযহা সমাগত। ঈদুল আযহার অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে- আল্লাহর জন্য পশু কুরবানী করা। অথচ আমাদের অনেকেই এই পশু কোরবানির প্রকৃত মাহাত্ম্য সম্বন্ধে অনবগত।
“কুরবানি” শব্দটির উৎপত্তি আরবি থেকে। বাংলায় এর অনুবাদ “উৎসর্গ করা” আর ইংলিশে “To sacrifice” বা “To immolate” করা যেতে পারে। তবে আরবিতে শব্দটির অর্থ যতটুকু ফুটে ওঠে, সে তুলনায় এর পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুবাদ অন্য ভাষায় ততটা হয় না।
এর আসল অর্থ “নৈকট্য অর্জন”। অর্থাৎ যে কাজটি করে আল্লাহর আরো নিকটবর্তী হওয়া যায়, তাকেই বলা হয় “কুরবানি”।
আপনি কি জানেন নিকটবর্তী হওয়ার মর্ম কী? আর কেনই বা নিকটবর্তী হতে হবে??
এর পটভূমি অন্য জায়গায়। এর সঙ্গে মানবসৃষ্টির উদ্দেশ্য প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। অর্থাৎ দুনিয়াটা একটা এক্সাম হল। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। আর তা হলো আমরা যেন তার ইবাদত ও আনুগত্য করি, তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলি, জীবনকে তার রঙে রঙিন করি।
তাই দেখুন, আপনার কুরবানি এ মর্ম কতটুক বহন করছে এবং তার উদ্দেশ্যে কতটুক সে সফল?
লক্ষ্য রাখুন, আপনার কুরবানি যেন “বিফ পার্টি”তে পরিণত না হয়। আপনার কুরবানিতে যেন আর্তমানবতারও ছিটেফোঁটা অংশ থাকে। আপনার কুরবানি যেন লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে না হয়। . আপনার কুরবানি যেন দেয় ত্যাগের বার্তা, তিতিক্ষার আহবান, সহনশীলতার প্রেরণা। আপনার কুরবানি হোক নিজের জন্য, সমাজের জন্য, জাতির জন্য।…